নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গেশোলপুর কে,পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দেখে মনে হচ্ছে একটি ইট ভাটা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে নগত নারায়ণে তুষ্ট করে এ মাঠ দখল করে নিয়েছেন পি,ডি,এল কোম্পানি ।
যানা গেছে, সিঙ্গেশোলপুর ইউনিয়নের একটি রাস্তা সংস্কারে কাজের ঠিকাদার পি,ডি,এফ কম্পানি। আর এই সস্কারের জন্য ব্যবহারিত সকল ইট রাখার জন্য ব্যবহার করছে স্কুল মাঠ। এ বিষয়ে সিঙ্গাশোলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাঠ রক্ষার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, সিঙ্গাশোলপুর কে, পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান খয়ের মোল্যা রাস্তার ঠিকাদারের নিকট হতে মোট অংকের টাকা নিয়ে মাঠে ইট রাখতে দিয়েছেন। যার কারনে ব্যাহত হচ্ছে খেলাধুলা।খেলাধুলা বিষয় জেলায় বিশেষ অবদান রয়েছে সিঙ্গেশোলপুর ইউনিয়নের। খেলোয়াড়দের খেলাধূলায় চরম ভাবে ক্ষতি হচ্চে । প্রতিনিয়ত খেলাধুলা সহ মানষিক বিকাশে চরম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এ এলাকার মানুষের।
মাঠে খেলতে আসা সাব্বির জানান, আমরা প্রতিদিন বিকালে এখানে খেলাধুলা করি। ইট রাখার কারনে আমরা খেলা করতে পারছি না।
খেলতে আসা তানভির জানায়, বিদ্যালয় মাঠে প্রতিদিন ৩০/৪০ জন আমরা খেলি। এখন আমাদের খেলা বন্ধ। সামান্য জায়গা ফাঁকা আছে ওখানে খেলি। এ বিষয়ে সিঙ্গেশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উজ্বল শেখ জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে এমন ভাবে ইট রাখা হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি ইট ভাটা।
ইট রাখার কারনে খেলোয়াড়রা মাঠে খেলতে পারছে না। তা ছাড়াও মাঠের অনেক ক্ষতি হবে। কোয়া পড়ে থাকবে। পরর্বতীতে এই মাঠে খেলতে অনেক সমস্যা হবে।
সিঙ্গেশোলপুর কে,পি,মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল মোড়ল জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি র অনুমতি নিয়ে মাঠ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি খয়ের মোল্যা জানান, বিদ্যালয় মাঠ দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে । এই টাকা দিয়ে স্কুল সংস্কার করা হবে।
সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের সচেন মহল এই মাঠ দখল হাত থেকে মাঠ রক্ষার জন্য প্রশাসনের আশুহস্ত ক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।